চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চরপাড়া গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে হুসাইন আহমেদ (২৩)। সম্প্রতি ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় তার ডান পা ভেঙে যায়। ভাঙা পা নিয়ে কয়েক দিন ধরে আলমডাঙ্গার ফাতেমা ক্লিনিকের ৪ নং কেবিনে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। এদিকে প্রেমিকের পা ভাঙার খবর পেয়ে প্রেমিকা তাসফিয়া সুলতানা মেঘা (১৯) বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) বিকেলে ছুটে আসেন ক্লিনিকে। এ সময় সৃষ্টি হয় এক আবেগঘন মুহূর্তের।
গভীর রাতে ক্লিনিকের কেবিনেই কাজী ডেকে বিয়ের ব্যবস্থা হয়। দেনমোহর ধার্য হয় এক লাখ ২০ হাজার টাকা। বিয়ের পর কেবিনেই ফুলশয্যার আয়োজন। মুখরোচক এ খবর ছড়িয়ে গেল মূহুর্তেই। কৌতুহলী মানুষের ভীড় ঠেকায় কে?
স্থানীয়রা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, কয়েকদিন আগে ঝিনাইদহে এক সড়ক দুর্ঘটনায় হুসাইনের পা ভেঙে যায়। তাকে আলমডাঙ্গার ফাতেমা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রেমিকা ঝিনাইদহ থেকে সোজা চলে আসেন প্রেমিকের কাছে।
সম্পর্কের গভীরতা বিবেচনায় প্রেমিকের অভিভাবকরা প্রেমিকার বাবার সঙ্গে মুঠোফোনে ঘটনা সম্পর্কে জানান। এই ঘটনা জানার পর মেয়েকে আর বাড়িতে তুলবেন না বলে জানিয়ে দেন বাবা। তবে মেয়েও কম জেদী না,তাৎক্ষণিক বিয়ের দাবিতে অনড়।
ফাতেমা ক্লিনিকের মালিক বিলকিছ পারভিনের স্বামী মুনজুর আলী জানান, এমন ঘটনা বিরল। আমাদেরও ভালো লাগছে। ছেলে-মেয়ে দুজনই প্রাপ্তবয়স্ক। রাতেই সবার অনুমতিক্রমে বিয়ের সব আয়োজন করা হয়। ক্লিনিকেই নবদম্পতির বাসর হয়।
বাংলাদেশ সময়: ৬:৩৫ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৯ জুন ২০২১
protidin-somoy.com | anayet mojomdar
Development by: webnewsdesign.com