ধারাবাহিক ভাবেই সরকার বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন বিএনপি নেতারা। এজন্য বিএনপি কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়া হয় সাবেক ছাত্রদল সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের। দলের চেয়ারপারসন এজন্য প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের বসিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন, আগামী দিনের আন্দোলন ও কর্মসূচিতে রাজনৈতিক সাফল্য অর্জনের পথ অনেক সহজ হবে। কিন্তু সেই আশাতেও গুড়ে বালি। সাবেক ছাত্রদল নেতারাও আন্দোলন গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে, কেন এই ব্যর্থতা?
বিএনপির সহযোগী সংগঠন হিসেবে ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠা পায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সংগঠনটির সভাপতি ও আহ্বায়কের পদে এসেছেন ১৮ জন। সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম আহ্বায়কের পদে আসীন হয়েছেন ১১ জন। মোট ২৯ জনের মধ্যে রাজনীতি ছেড়েছেন ৬ জন, মারা গেছেন ৪ জন, গুম আছেন ১ জন। সক্রিয় ১৪ জন। সক্রিয়দের প্রায় সবাই বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। বাকিরা আছেন ভালো পদের অপেক্ষায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৭৯ সালে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক ছিলেন কাজী আসাদুজ্জামান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্রনেতা গত বছর মারা গেছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৮৫ ও ১৯৮৬ সালে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন শামছুজ্জামান দুদু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্ররাজনীতি শুরু করার এই নেতা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন ড. আসাদুজ্জামান রিপন। মুন্সীগঞ্জের এই ছাত্রনেতা বর্তমানে বিএনপির বিশেষ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বেশ কিছু সময় দল থেকে দূরে থাকায় তিনি পিছিয়ে পড়েছেন। তিনি ইংরেজি ম্যাগাজিন দ্য ডিপ্লোম্যাট অ্যান্ড গ্লোবাল-এর সম্পাদক। ১৯৯০ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক পদে ছিলেন আমান উল্লাহ আমান। এর আগে ৮৭ থেকে ৯০ সাল পর্যন্ত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক। ৯০ সালে তিনি ছিলেন ডাকসুর ভিপি। অষ্টম সংসদ নির্বাচনে এমপি হয়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, পরবর্তীতে শ্রম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। বর্তমানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
১৯৯২ সালের ১৬ই মে প্রথমবারের মতো নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সভাপতি পদে জয়ী হন রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ। কিন্তু আন্তঃকোন্দলের ফলে মাত্র ৪ মাস টিকে ছিল রিজভীর কমিটি। ৪ মাস পরেই তিনি কেন্দ্রীয় সভাপতির পদ থেকে চলে যান। এককালের মাঠকাঁপানো এই ছাত্রনেতা ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ-রাকসুর ভিপি। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি সরকারের সময়ে তিনি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতির পদে ছিলেন ফজলুল হক মিলন। অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের কালীগঞ্জ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। বর্তমানে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। মিলনের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন নাজিম উদ্দিন আলম। বর্তমানে তিনি বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য। ১৯৯৬-এর শেষের দিকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতির পদে আসেন শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী। ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত সভাপতির পদে ছিলেন তিনি। ৭ম, ৮ম, ৯ম জাতীয় সংসদে লক্ষীপুর-৩ আসন থেকে পরপর তিনবার এমপি নির্বাচিত হন তিনি। বর্তমানে বিএনপির প্রচার সম্পাদক।
এ্যানীর কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন হাবীব-উন-নবী সোহেল। এরপর সোহেল ২০০০ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ২০০২ সালের শেষের দিকে মাত্র ৪ মাসের জন্য ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-আহ্বায়ক ছিলেন এবিএম মোশারফ হোসেন। বর্তমানে তিনি বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক।
২০০৩ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় সভাপতির পদ পান। ২০০৯ সালে ছাত্রদল থেকে বিদায় নেয়ার পর তিনি নবম জাতীয় সংসদে তার নিজ জন্মস্থান খুলনা থেকে নির্বাচন করবেন বলে ব্যাপক কাজ করেন। সেখান থেকে মনোনয়ন না পেয়ে নির্বাচন করেন ঢাকা-১৮ আসনে। তবে নির্বাচনে হেরে যান তিনি। বর্তমানে বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
২০০৯ থেকে ২০১২ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতির পদে ছিলেন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। বিএনপির গত কমিটিতে তিনি ছিলেন সহ-ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক। যুবদলের নতুন কমিটিতে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন। তার পৈতৃক নিবাস টাঙ্গাইল থেকে নির্বাচন করতে চান। টুকুর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আমিরুল ইসলাম খান আলীম। বর্তমানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক তিনি। ২০১৪-২০১৯ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করা সভাপতি রাজিব আহসান এখন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য।
রাজনীতির বাইরে যারা
ছাত্রদলের প্রথম কেন্দ্রীয় সভাপতি এনামুল করিম শহিদ। ১৯৭৯ সালের শেষের দিকে এই পদ পান তিনি। বর্তমানে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। এককালের তুখোড় এই ছাত্রনেতা বর্তমানে টাঙ্গাইলের একটি কলেজে শিক্ষকতা পেশায় রয়েছেন। এনামুল করিম শহিদের পরে ছাত্রদলের আহ্বায়কের পদে আসেন গোলাম সরোয়ার মিলন। এরশাদ সরকারের সময় দল ছেড়ে চলে যান জাতীয় পার্টিতে। এর কিছু দিন পরেই রাজনীতি থেকে সরে যান তিনি। ১/১১-এর সময় আবারও রাজনীতিতে জড়িত হন ফেরদৌস আহমেদ কোরেশীর দল পিডিপিতে।
গোলাম সরোয়ার মিলনের মতোই অবস্থা এককালের তুখোড় ছাত্রনেতা আবুল কাশেম চৌধুরীর। ১৯৮৩ থেকে ৮৬ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এরশাদ সরকারের সময় বিএনপি ছেড়ে চলে যান এরশাদের সঙ্গে। এর কিছুদিন পরেই রাজনীতি থেকে সরে যান তিনি। ১/১১-এর সময় তিনি পিডিপিতে যোগ দিলেও বর্তমানে কোনো দলের সঙ্গে যোগাযোগ নেই তার। ১৯৮৬ ও ৮৭ সালে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন জালাল আহমেদ। পরে রাজনীতি ছেড়ে পাড়ি দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়।
১৯৯০ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত আমানউল্লাহ আমানের আহ্বায়ক পদে থাকাকালীন যুগ্ম-আহ্বায়কের পদে ছিলেন সানাউল হক নীরু। বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে একাধিকবার দুর্ব্যবহার করে বর্তমানে দলচ্যুত। ২০০৩ ও ০৪ সালে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলে সাহাবুদ্দিন লাল্টু। বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে অভিমানে দল ছেড়েছেন তিনি। বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করছেন তিনি।
১৯৭৯ সালে ছাত্রদলের প্রথম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান আকম গোলাম হোসেন। পরে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হয়েছিলেন। হঠাৎ করেই কয়েক বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। ছাত্রদলের শ্রেষ্ঠ সংগঠক বলে পরিচিত মাহবুবুল হক বাবলু। ১৯৮৬ সালের শেষের দিকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হন মাহবুবুল হক বাবলু। ১৯৮৭ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি এরশাদ সরকারের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হলে বোমা হামলায় নিহত হন তিনি। ছাত্রদলের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা ছিলেন তিনিই।
১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন নাসিরুদ্দিন আহমেদ পিন্টু। এরপর ২০০০ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত ছিলেন কেন্দ্রীয় সভাপতি। পিলখানায় বিডিআর হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে মারা যান। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগরের যুগ্ম-আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শফিউল বারী বাবু। নবম সংসদ নির্বাচনে নিজ জন্মস্থান লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে মনোনয়ন চেয়ে পাননি। শফিউল বারী বাবু গত জুলাইয়ে মারা যান। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি।
এখনও গুম ইলিয়াস আলী-
২০১২ সালের ১৭ই এপ্রিল রাতে নিজ বাসায় ফেরার পথে রাজধানী ঢাকার মহাখালী থেকে নিখোঁজ হন তিনি। তখন থেকেই কোনো হদিস মেলেনি তার। ইলিয়াস আলী ছিলেন এক সময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা। ১৯৯২ সালের শেষের দিকে তিনি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। গুম হওয়ার আগ পর্যন্ত ইলিয়াস আলী বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।
ভালো পদের অপেক্ষায় যারা-
২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল। তিনি বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তার সভাপতি থাকাকালীন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন হাবিবুর রশিদ হাবিব। এরা দুজনেই এখনও বিএনপির ভালো কোনো পদে আসেননি। বিগত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান এখনও কোনো দায়িত্ব পাননি। তিনিও বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদপ্রত্যাশী।
বর্তমান কমিটি-
বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি হিসেবে মো. ফজলুর রহমান খোকন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মো. ইকবাল হোসেন শ্যামল দায়িত্ব পালন করছেন। তারা দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
কেন ব্যর্থ বর্তমান ছাত্রদল ও সাবেক ছাত্রদল নেতারা
বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল আরটিভি নিউজকে বলেন, সরকার ভয়াবহ দমন পীড়ন অব্যাহত রেখেছে। এর মধ্য দিয়েই বিএনপি ও অংগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোসহ ছাত্রদল কাজ করছে।
তিনি বলেন, ছাত্রদলের সাবেক নেতারা এখন বিএনপিতে বড় ভূমিকা রাখছে। বিএনপি আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছে না, বিষয়টা এরকম না। তবে আন্দোলন করতে গিয়েই তো আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী এখন কারাগারে। কিন্তু নিপীড়ন করে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিকভাবে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠিত হবার পর থেকেই সংগঠনটি নতুন করে শক্তিশালী হচ্ছে। অন্যান্য অংগ সংগঠনগুলোও দাঁড়াচ্ছে। সবার শক্তিশালী ভূমিকার মধ্য দিয়েই এই একনায়ক সরকারের পতন ঘটাবো আমরা।
ছাত্রদলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল আরটিভি নিউজকে বলেন, পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে, তা বলার সুযোগ নেই। গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিএনপির সহযোগী সংগঠন হিসাবে ছাত্রদল অগণতান্ত্রিক, অবৈধভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামের অংশগ্রহণ করছে। আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে ছাত্রদলের শত শত নেতাকর্মী গুম-খুনের শিকার হয়েছেন। অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
তিনি দাবি করেন, আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রদলের অংশগ্রহণ রয়েছে বলেই এক দশকের বেশি সময় ধরে ছাত্রদলকে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের হাতে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হতে হয়েছে। সরকার এবং পুলিশের শত শত মামলায় হামলা শিকার হতে হয়েছে।
তিনি বলেন, অতীতে কোনো ছাত্র সংগঠনই এরকম হামলা-মামলা গুম-খুনের শিকার হয়নি। এমনকি ছাত্রদলের কাউন্সিলকে বন্ধ করার জন্য সরকার আদালতকে প্রভাবিত করে কাউন্সিল বন্ধ করতে অপচেষ্টা লিপ্ত ছিল।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, বিনা ভোটে ও অবৈধভাবে নির্বাচিত এই স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতার মসনদে আজীবন টিকে থাকবে না। আগামীতে এই স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করে এই স্বৈরাচার সরকারকে বিদায় করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ৭:৪৬ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
protidin-somoy.com | anayet mojomdar
Development by: webnewsdesign.com