ব্রেকিং নিউজ

x


শাহরাস্তি পতিতা ব্যবসা: যৌনকর্মে মেহেদী ও মাদক কারবারি সোহাগ গংকে গণধোলাই

বৃহস্পতিবার, ০৭ মে ২০২০ | ১:৩৫ অপরাহ্ণ

শাহরাস্তি পতিতা ব্যবসা: যৌনকর্মে মেহেদী ও মাদক কারবারি সোহাগ গংকে গণধোলাই

শাহরাস্তি উপজেলার মেহের উত্তর ইউনিয়নের দেবীপুর খন্দকার বাড়িতে গত ০৬/৫/২০২০ইং রাত অনুমান ১২ঃ৩০ ঘটিকায় পতিতা ব্যবসাসহ অবৈধ যৌনাচারের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে । ঘটনা সূত্রে সরেজমিনে জানা যায় যে, মেহেদী হাসান পিতা আবু তাহের , কুখ্যাত মাদক কারবারি এবং বহু মাদক মামলার আসামি সোহাগ পিতা দেলোয়ার হোসেন মেম্বার, মাদকাসক্ত ও পতিতা ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম সাগর পিতা দেলোয়ার হোসেন মেম্বার, ইয়ুছুফ মিয়া পিতা সেলিম এবং মামুন পিতা মতিন গং হাজীগঞ্জ থেকে একটা পতিতা মেয়েকে ৩,০০০/- ( তিন হাজার) টাকায় ভাড়া করে নিয়ে আসে দেবীপুর পশ্চিম খন্দকার বাড়ীর মৃত ছাদেক মিয়ার পরিত্যক্ত ঘরে ।

চারদিকে নিরব হলে রাত অনুমান ১২ঃ৩০ ঘটিকায মৃত ছাদেক মিয়ার স্ত্রীর সহযোগিতায় উক্ত পরিত্যক্ত ঘরের পিছনের বেড়া ভেঙ্গে ঘরের মধ্যে ঐ পতিতা মেয়ে নিয়ে অবৈধ যৌনাচারের পূর্তি এবং ব্যবসা করতে থাকে । এ সময় পতিতা ব্যবসার খদ্দের জন্য এলাকার যুবকদের সাথে ঘটনার মূল হোতা মেহেদী হাসান এবং কুখ্যাত মাদক কারবারি ও পতিতা ব্যবসায়ী সোহাগ কৌশলে যোগাযোগ করতে থাকলে এমন সময় এলাকা বাসি টের পেয়ে যান ।

দেবীপুর গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ যথাক্রমে শামীম পিতা দেলোয়ার হোসেন, মো. সুমন ভূঁইয়া পিতা আমির ভূঁইয়া , মেহেরাফ হোসেন পিতা অরুন, নাসির হোসেন পিতা মৃত শুক্কুর আলী , আলাল পিতা শাহজান সহ সম্ভাব্য মেম্বার পদপ্রার্থী মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ মিলে নিয়মিত পতিতা ব্যবসার ঐ বাড়ি- ঘর ঘেরাও করে অবৈধ যৌনাচার করাবস্থায় মেহেদী হাসান, সোহাগ সহ সবাইকে ধরে ইচ্ছা মতো গণধোলাইয় দেয় । অতঃপর উল্লেখিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের নিকট সাদা কাগজে লিখিত মুচলেকা ও অঙ্গীকারনামা দিয়ে এবং গণপিটুনি খেয়ে ছাড় পায় এই পতিতা ব্যবসায়ী এবং অবৈধ যৌনাচারীরা ।

লিখিত মুচলেকা বা অঙ্গীকারনামা বর্তমানে অরুণ মিয়ার ছেলের কাছে আছে বলে জানা যায় । এসব চরিত্রহীন লম্পটদের শাহরাস্তি থানা পুলিশ প্রশাসনের নিকট রহস্যজনক ভাবে তুলে না দেওয়ায় এবং উক্ত বিষয়ে কোন ধরনের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় সমগ্র দেবীপুর গ্রামসহ শাহরাস্তি উপজেলার মধ্যে নিন্দা ও মুখরোচক আলোচনার ঝড় বইছে । এদিকে পতিতা মেয়েকে স্থানীয় উল্লেখিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কি করেছেন বা কিভাবে হাজীগঞ্জ পাঠালেন বা পতিতা মেয়েটি বর্তমানে কোথায় আছে তাহার সঠিক বক্তব্য কারো নিকট থেকে জানা যায়নি । তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেন, পতিতা মেয়েকে উত্তম মধ্যম দিয়ে ছেড়ে দিয়ে সকাল হওয়ার আগেই গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ-ই রহস্যজনক ভাবে ঘটনা ধামাচাপা দেন । উক্ত বিষয়ে দেবীপুর গ্রামের জনগণ চরম লজ্জিত ।

কারণ পবিত্র মাহে রমযান মাসে,,, তাও আবার করোনা মহামারীর মধ্যে এমন ইসলাম বিরোধী এবং সমাজ বিরোধী কান্ড, একই সাথে কৌশলে ধামাচাপা যাহা শান্তিপ্রিয় জনগণের কেউই মেনে নিতে পারছে না । দেবীপুর গ্রামের জনগণ উক্ত চরম ন্যক্কারজনক ঘটনার সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক শাহরাস্তি থানা পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে একটা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন ।দেবীপুর গ্রামের জনগণ আমাদের প্রতিনিধিকে জানান কুখ্যাত মাদক কারবারি আমির সওদাগর, রিপন, স্বপন, মানিক, সোহাগ, সাগর এবং এদের সঙ্গ পাঙ্গদের মাদক কারবারি এবং নারী অপকর্মে এই গ্রামের লোকজন বাইরে মুখ দেখাতে পারেনা । এদের কেহই দেবীপুর খন্দকার বাড়ির বা খন্দকার বংশের কেউ নহে । এরা অন্যত্র হতে এসে বাড়ি ঘর করে এমন অনৈতিক কর্মকান্ড করেই যাচ্ছেন ।

অথচ তাদের ধারাবাহিক নানাহমূখী অপকর্মে দেবীপুর গ্রামের জনগণ দিশেহারা । মেহের উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন সাহেব এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মো. কাউছার সাহেবের বাড়ি দেবীপুর গ্রামে মাদক কারবারির আখড়া এবং নতুন পতিতা অপকর্মের একেবারে কাছে হলেও ওনারা এসব অপকর্ম প্রতিরোধে অনেকটা ব্যর্থ হয়েছেন বলে এই গ্রামের লোকজন এবং সুশীল সমাজ মনে করে ।

মাদক কারবারি এবং পতিতা ব্যবসায়ী মানিক, সোহাগ এবং রবিউল ইসলাম সাগর গংদের পিতা দেলোয়ার হোসেন মেম্বার, মাতা রাজিয়া বেগম (কাজল) ; মাদক কারবারি রিপন, স্বপন এবং আমির সওদাগরের পিতা মৃত তোতা মিয়া, মাতা মৃত বেগম ; নারী অপকর্মকারী নেশাখোর ইউছুপ এর পিতা সেলিম মিয়া, পতিতা ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান এর পিতা আবু তাহের খলিফা এবং নারীখোর মামুন এর পিতা মতিন পরষ্পর আত্মীয় স্বজন এবং পরিচিত লোকজন হয় ।পতিতা ব্যবসা ও মাদক কারবারির সাথে দেবীপুর পশ্চিম খন্দকার বাড়ির মৃত সাদেক মিয়ার স্ত্রী জড়িত আছে বলে সবাই মনে করে । কারন কুখ্যাত মাদক কারবারি সোহাগ মৃত সাদেক মিয়ার জামাতা ।

মৃত সাদেক মিয়ার স্ত্রীর সহযোগিতায় তাহার পরিত্যক্ত ঘরেই সোহাগ গং পতিতালয় বানিয়ে এমন কুকর্ম করে গ্রামের জনতার নিকট হাতেনাতে ধরা পড়ে । মৃত সাদেক মিয়ার বসত বাড়ি এবং পরিত্যক্ত ঘরের পরিবেশগত অবস্থা থেকে ধারণা করা হচ্ছে এরা দীর্ঘদিন যাবত মাদক কারবার এবং নারী অপকর্মে নিরিবিলি এই বাড়িকে ব্যবহার করে আসছে ।

এরা বিশাল অপরাধী সিন্ডিকেট চক্র এবং ঐক্যবদ্ধ ভাবে ধারাবাহিক এসব অপকর্ম করিয়া যাইতেছে ।

এই ব্যাপারে আমাদের প্রতিনিধি শাহরাস্তি থানায় উপরোক্ত ঘটনা বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ আলম এল.এলবি বলেন, উক্ত বিষয়ে কেউ এখনও কোন অভিযোগ করেনি । তবে দেবীপুর পশ্চিম খন্দকার বাড়িতে পতিতা ব্যবসা ও নারী অপকর্ম এবং মাদক কারবারি বিষয়ে তিনি তথ্য পেয়েছেন । উক্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ।

এই আপিত্তিকর এবং অপ্রত্যাশিত বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজনসহ সাংবাদিক, মানবাধিকার সংস্থা, সুশীল সমাজ ও রাজনীতিবীদ মনে করে থানা পুলিশ প্রশাসনসহ সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় এসব অপকর্ম প্রতিরোধ করা সম্ভব । অন্যথায় সমাজে মাদক কারবারি এবং নারী অপকর্ম মারাত্মক আকার ধারণ করে গোটা সমাজকে ধবংস করে দিবে ।

বাংলাদেশ সময়: ১:৩৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৭ মে ২০২০

protidin-somoy.com |

Development by: webnewsdesign.com