ব্রেকিং নিউজ

x


মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে ভুয়া জিডির কারবার, দালালদের দৌরাত্ম্য

মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট ২০২১ | ৭:৩৮ পূর্বাহ্ণ

মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে ভুয়া জিডির কারবার, দালালদের দৌরাত্ম্য

 

মার্কশীট বা সার্টিফিকেট হারিয়ে বা পুড়ে গেলে থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে হয়। জিডির তথ্য উল্লেখসহ জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে হয়। তারপর নিয়মানুযায়ী আবেদন করতে হয় নতুন করে মার্কশীট বা সাটিফিকেট পাওয়ার জন্য। কিন্তু খুবই দরকারি এই জিডি না করেই আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকায় ভুয়া জিডি নম্বর দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করছে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের একটি চক্র। আর এই ভুয়া জিডি ও ভুইফোঁড় দৈনিক পত্রিকার বিজ্ঞাপনেই মিলছে নতুন সনদ। এতে সহয়তা করছে কাজ নাই মজুর নাই ভিত্তিতে কাজ করা মাদরাসা বোর্ডের কয়েকজন সাবেক কর্মচারী। তাদের হাতে ভুইফোঁড় পত্রিকার কার্ডও রয়েছে। এদের সঙ্গে দালালচক্রের হোতা স্থানীয় রাসেল নামে এক যুবকও রয়েছে। রাসেলকে হয় মাদরাসা বোর্ডের ভেতরে নয়তো বোর্ডের সামনে মোটরসাইকেলেই মোয়াক্কেল ধরার জন্য বসে থাকতে দেখা যায়। এই চক্র বিপদে পড়লে তাদেরকে সহায়তা করেন বোর্ডের কর্মচারী সমিতির কয়েকজন নেতা। এই চক্রটিই ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের সনদের কাজও করে দেয় টাকার বিনিময়ে। দৈনিক শিক্ষার অনুসন্ধানে এ তথ্য জানা গেছে।

নতুন সনদ পাওয়া ও নাম-বয়স সংশোধনের আবেদন বিবেচনার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে সভা করে মাদরাসা বোর্ড। গত কয়েকটি সভায় নিষ্পত্তি হওয়া আবেদনের তথ্য ও ভুইফোঁড় পত্রিকার বিজ্ঞাপন যাচাই করে ভুয়া জিডি ও ভুয়া পত্রিকার অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে।
মাদরাসা বোর্ডের সামনে মোয়াক্কেল ধরার জন্য রাসেলের অপেক্ষা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, নতুন সনদ বা এফিডেভিডের জন্য দালাল রাসেলকে টাকা দিলে দিনে দিনে সনদ পাওয়া যায় কিন্তু নিয়মমতো আবেদন করলে মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয়। সত্যি সত্যি জিডি করতে হয়। ভালো পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে হয়। রাসেলকে টাকা দিলে সব ম্যানেজ হয়ে যায়। জিডিগুলো আদৌ সত্যি কি-না তা খতিয়ে দেখা হয় না। যে শাখায় এগুলো খতিয়ে দেখার কথা তারাই যুক্ত ভুয়া জিডির সঙ্গে। তারাই রাসেলের লোক!
রাসেলের হাতে কয়েকজনের সনদের তথ্য।

এসব অভিযোগের বিষয়ে মাদরাসা বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেছেন, কাজ নাই মজুরি নাই ভিত্তিতে কাজ করা কয়েকজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে দালালীর অভিযোগ ছিলো। সেই নয়জন কর্মচারীকে এখন আর বোর্ডের কাজে দরকার হয় না।

তবে,  অনুসন্ধানে জানা গেছে সেই সাবেক অস্থায়ী নয়জন কর্মচারীই এখনও দালালী করছেন। বোর্ডের গেটে তাদেরকে নিয়মিত দেখা যায়। আনসারদের সঙ্গে সখ্য করে ভেতরে ঢোকেন মাঝেমধ্যে। তাদের সঙ্গে সারাদেশের মাদরাসা শিক্ষকদের সঙ্গে রয়েছে যোগাযোগ। যে কোনো কাজ করিয়ে দিতে টাকার বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ হন তারা। সবকিছুর সঙ্গেই রাসেল জড়িত।

নয়জনের নাম: মাহফুজুল হক, আবদুল লতিফ তালুকদার, মোহাম্মদ আবদুল মতিন, সিরাজ উদ্দিন, এস এম তারেক, মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, রায়হানুল ইসলাম, মো. আবদুল্লাহ ও আশরাফ আলী।

বাংলাদেশ সময়: ৭:৩৮ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট ২০২১

protidin-somoy.com |

Development by: webnewsdesign.com