খাবার গ্রহণ করা জীবনের জন্য যেমন জরুরি তেমনই সেই খাবারের উচ্ছিষ্টাংশ শরীর থেকে বের হয়ে যাওয়াটাও একইরকমভাবে জরুরি।
অথচ সেই মলদ্বারের কোন অসুখ বা জটিলতা নিয়ে কথা বলতে মানুষের কতই না সংকোচ। মলদ্বারের জটিলতাগুলোর মধ্যে অন্যতম পাইলস বা হেমোরয়েড।
সংকোচ কাটিয়ে যদি শুরুতেই অসুখটি শনাক্ত করা যায় তবে চিকিৎসাটাও সহজ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যথায় অপারেশেন।
সনাতন পদ্ধতির পাশাপাশি লেজারের ব্যবহার করে হেমোরয়েডের অপারেশন এখন বেশ সহজলভ্য বাংলাদেশে।
সংক্রামক নয়, তবুও লাখো মানুষ আক্রান্ত এই রোগে। হেমোরয়েড, অর্শ বা পাইলস নামে পরিচিত এই রোগ নিয়ে সংকোচের শেষ নেই।
অথচ বাংলাদেশেই প্রতি তিনজনের একজন এই রোগের ভুক্তভোগী। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের ৫০ শতাংশই হেমোরয়েডের সমস্যায় ভুগে থাকেন।
লজ্জা আর সংকোচ কারণ মলদ্বারের সমস্যা অনেকেই লুকিয়ে রাখতে চান, এ নিয়ে কথা বলতেও অসস্তি বোধ করেন। কিন্তু এই হেমোরয়েড প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে তা সহজেই নিরাময় যোগ্য।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের কলোরেক্টাল সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আহসান হাবীব জানান, মলদ্বারের সমস্যা মানেই হেমোরয়েড নয়। আবার হেমোরয়েড মানেই অপারেশন করতে হবে তাও নয়।
আরও পড়ুন: সময়ের সঙ্গে বাড়ছে ভয়ংকর ওমিক্রনের বিস্তার
চিকিৎসকরা বলছেন, ৯০ ভাগ হেমোরয়েডের সমস্যাই মুখের ঔষুধে নিরাময় সম্ভব। আর যদি অপারেশনের প্রয়োজন হয়ই, তবে দেশেই লেজারসহ উন্নত শল্য চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।
তবে সর্বোপরি এই রোগে আক্রান্ত হতে না চাইলে নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস বিশেষ করে আঁশযুক্ত খাবার এবং শরীরচর্চার অভ্যাস থাকতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ সময়: ৮:৩৯ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২১
protidin-somoy.com | anayet mojomdar
Development by: webnewsdesign.com