কিশোরগঞ্জের ভৈরবের শম্ভুপুর শান্তিপাড়া এলাকায় পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার কিশোর আজিজুল (১৪) কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
রোববার (৭ জুন) বিকালে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক মো. রফিকুল বারীর আদালতে এই জবানবন্দি প্রদান করে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক মো. মুতিউজ্জামান।
তিনি আরও জানান, আজিজুল তার জবানবন্দিতে ধর্ষণের নিখুঁত বর্ণনা দিলে আদালত সেটি রেকর্ড করেন এবং পরে আদালতের নির্দেশে তাকে ঢাকার টঙ্গীর কিশোর সংশোধনী কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে অপর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তাসলিমা আক্তারের কাছে শিশুটি ২২ ধারায় সেদিনকার ঘটনার বর্ণনা দেয়।
গত ৫ জুন (শুক্রবার) রাতে শিশুটির বাবা আব্দুর রহমান বাদী হয়ে কিশোর আজিজুলকে অভিযুক্ত করে ভৈরব থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ৬ জুন শনিবার বিকালে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শম্ভুপুর রেলক্রসিং এলাকা থেকে আজিজুলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. মুতিউজ্জামান। পরে গতকাল রোববার বিকালে তাকে কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।
আজিজুল ভৈরব উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শম্ভুপুর গ্রামের শান্তিপাড়া এলাকার কুদ্দুস মিয়ার ছেলে। বৃহস্পতিবার বিকালে লুডু খেলার কথা বলে প্রতিবেশী শিশুটিকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। তাৎক্ষণিক শিশুটি তার অভিভাবকদের ঘটনা না বললেও রাতে ব্যথায় কান্না করলে মা পারুল বেগম জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি জানতে পারেন।
পারুল বেগম স্বামী আব্দুর রহমানকে সাথে নিয়ে অজিজুলের মা-বাবাকে বিষয়টি অবগত করলে তারা আমলে নেয়নি। ইতোমধ্যে আজিজুল পালিয়ে যায় বাড়ি থেকে।
শুক্রবার শিশুটিকে প্রথমে ভৈরব শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। সেখানকার মেডিক্যাল অফিসার সাদিয়া সুলতানা প্রাথমিক পরীক্ষায় শিশুটির মাঝে ধর্ষণের আলামত পান।
খবর পেয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহিনের নেতৃত্বে পুলিশ সেখানে যায় এবং শিশুটির উন্নত চিকিৎসা এবং পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায়।
বাংলাদেশ সময়: ৪:৩৯ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৮ জুন ২০২০
protidin-somoy.com | anayet mojomdar
Development by: webnewsdesign.com