কয়েকদিনের অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকাসহ নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। উপকূলীয় এলাকাগুলোতে জোয়ারের সময় পানি ঘূর্ণিঝড় আম্পানের চেয়েও বেশি উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলের ক্ষেত প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি ভেসে গেছে মাছের ঘের। টানার বৃষ্টিতে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে নদ-নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারে চেয়ে বেড়ে গেছে। এতে সাতক্ষীরায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে জেলার চারটি ইউনিয়ন। থৈ থৈ পানিতে ভাসছে জেলার বেশির ভাগ এলাকা।
এদিকে, জোয়ারের কারণে তৃতীয় দিনের মতো তলিয়ে গেছে ভোলার বিস্তীর্ণ এলাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তাঘাট ভেসে গেছে পুকুর ও মাছের ঘের। নদীর পানি বাড়ার পাশাপাশি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। স্থানীয় এক এলাকাবাসী জানান, রান্না করতে পারছি না বলে তিন-চার দিন ধরে কোনো খাওয়া-দাওয়া নেই এবং এই পানিতে আমাদের ঘরবাড়িও ভেসে গেছে।
অন্যদিকে, ঝালকাঠিতে সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় শতাধিক গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানি-বন্দী হয়ে পড়েছে। বেশ কয়েক জায়গায় বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। সেখানকার এলাকাবাসীরা জানান, বন্যায় বেশিরভাগ ঘরবাড়ি ভেসে গেছে, বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না তারা। পানিতে রাস্তাঘাটও ডুবে গিয়েছে।
লঘুচাপের প্রভাবে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিষখালী-বলেশ্বরের তীরের এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করায় তলিয়ে গেছে অনেক গ্রাম। বরিশালে প্রবল বৃষ্টি ও নদীর পানি বেড়ে শহরের বিভিন্ন এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও শরীয়তপুর, টাঙ্গাইল, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন জেলায় নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ৭:২৪ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৪ আগস্ট ২০২০
protidin-somoy.com | anayet mojomdar
Development by: webnewsdesign.com