ঢাকা বোট ক্লাবে শ্লীলতাহানি ও মারধরের মামলার অভিযোগপত্র নিয়ে চিত্রনায়িকা পরীমনির নারাজি আবেদন খারিজ করেছে আদালত। একই সাথে চার্জশিট আমলে নিয়ে এক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিনের আদালতে পরীমনির আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। একইসঙ্গে ব্যবসায়ী নাসিরসহ তিন জনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত।
তবে আসামি শহিদুল আলম পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এর আগে, গত ৬ সেপ্টেম্বর মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার পরিদর্শক কামাল হোসেন। পরে গত ১ ডিসেম্বর পরীমনি আদালতে হাজির হয়ে প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেন।
তার নারাজি আবেদনে বলা হয়, তদন্ত কর্মকর্তা ‘ইচ্ছে করে’ অজ্ঞাতনামা আসামিদের কথা অভিযোগপত্রে আনেননি। তবে তার সেই আপত্তি আদালত আমলে নেয়নি।
পরীমনি তার মামলায় অভিযোগ করেন, গত ৮ জুন রাতে তাঁকে কৌশলে সাভারের বিরুলিয়ায় ঢাকা বোট ক্লাবে ডেকে নিয়ে যান তাঁর পূর্বপরিচিত তুহিন। সেখানে জোর করে তাঁকে মদ পান করানোর চেষ্টা করেন নাসির। একপর্যায়ে তাঁকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা চালানো হয়।
ঘটনার পাঁচ দিন পর গত ১৩ জুন নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে প্রথম এ-সংক্রান্ত অভিযোগ প্রকাশ্যে জানান পরীমনি। সেদিন রাতে বনানীর বাসায় সাংবাদিকদের ডেকে ঢাকা বোট ক্লাবে কী ঘটেছিল, তার বর্ণনা দেন তিনি।
পরদিন ১৪ জুন সাভার থানায় পরীমনি বাদী হয়ে ব্যবসায়ী নাসির ও তুহিনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার আড়াই মাস পর গত ৪ আগস্ট পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। পরে তাঁকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই মামলায় তিন দফায় মোট সাত দিন তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ৭:৫১ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১
protidin-somoy.com | anayet mojomdar
Development by: webnewsdesign.com