আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ..
আমার প্রিয় চাঁদপুর -০৩ (সদর-হাইমচর) এর প্রত্যেক ভাই বোনকে জানাই ।
আশা করছি মহান আল্লাহ যেন এই বরকতময় মাসে করোনা নামক এই ভয়ানক মহামারী থেকে আল্লাহ তায়ালা আমাকে আপনাকে এবং আমাদের পরিবারকে রক্ষা করবেন ইনশাআল্লাহ।
বর্তমানে করোনা ভাইরাস এর কারণে সারা বিশ্বে খুব খারাপ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আশা করছি এই দুর্যোগ থেকে সবাইকে আল্লাহ তায়ালা আবার আগের মত সাভাবিক অবস্থা ও আর্থিক স্বচ্ছলতা দান করবেন ইনশাআল্লাহ।
তাই এই রমাজান মাসে বেশি বেশি আল্লাহকে স্মরণ করি, ফরযসহ সুন্নাত ও নফল ইবাদত করি।
সারা বিশ্বের জন্য দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সুস্থতার সাথে নেক হায়াত দান করুক। (আমিন)
এ ছাড়াও তিনি তার ফেসবুক পবিত্র মাহে রমজানের রহমত, বরকত ও মাগফিরাত নিয়ে লিখেছেন……
রমজান মাস ৩০ দিন কে তিন ভাগে করেছেন, প্রথম ১০ রহমত, ২য় ১০ বরকত ৩য় ১০ মাগফিরাত।
রমজান মাসের ফজিলত
রমজান হল কোরআন নাজিলের মাস। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন : রমজান মাস, এতে নাজিল হয়েছে আল-কোরআন, যা মানুষের দিশারি এবং স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারী। [ সূরা বাকারা : ১৮৪ ]
রমজান মাসে সপ্তম আকাশের লওহে মাহফুজ থেকে দুনিয়ার আকাশে বায়তুল ইজ্জতে পবিত্র আল-কোরআন একবারে নাজিল হয়েছে। সেখান হতে আবার রমজান মাসে অল্প অল্প করে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি নাজিল হতে শুরু করে। কোরআন নাজিলের দুটি স্তরই রমজান মাসকে ধন্য করেছে। শুধু আল-কোরআনই নয় বরং ইবরাহিম আ.-এর সহিফা, তাওরাত, যবুর, ইঞ্জিল সহ সকল ঐশী গ্রন্থ এ মাসে অবতীর্ণ হয়েছে বলে তাবরানী বর্ণিত একটি সহি হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে। (সহি আল-জামে)
এ মাসে মানুষের হেদায়াত ও আলোকবর্তিকা যেমন নাজিল হয়েছে তেমনি আল্লাহর রহমত হিসেবে এসেছে সিয়াম। তাই এ দুই নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করতে বেশি বেশি করে কোরআন তিলাওয়াত করা উচিত। প্রতি বছর রমজান মাসে জিবরাইল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে পূর্ণ কোরআন শোনাতেন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-ও তাকে পূর্ণ কোরআন শোনাতেন। আর জীবনের শেষ রমজানে আল্লাহর রাসূল দু বার পূর্ণ কোরআন তিলাওয়াত করেছেন। সহি মুসলিমের হাদিস দ্বারা এটা প্রমাণিত।
রমজান মাসে জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয় ও জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়। শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয় শয়তানদের। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : যখন রমজান মাসের আগমন ঘটে তখন জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তানদের আবদ্ধ করা হয়। অন্য বর্ণনায় বলা হয়েছে-শয়তানের শিকল পড়ানো হয়। [ মুসলিম ]
তাই শয়তান রমজানের পূর্বে যে সকল স্থানে অবাধে বিচরণ করত রমজান মাস আসার ফলে সে সকল স্থানে যেতে পারে না। শয়তানের তৎপরতা দুর্বল হয়ে যায়। ফলে দেখা যায় ব্যাপকভাবে মানুষ তওবা, ধর্মপরায়ণতা, ও সৎকর্মের দিকে অগ্রসর হয় ও পাপাচার থেকে দূরে থাকে। তারপরও কিছু মানুষ অসৎ ও অন্যায় কাজ-কর্মে তৎপর থাকে। কারণ, শয়তানের কু-প্রভাবে তারা অনেক বেশি প্রভাবিত হয়ে পড়েছে।
রমজান মাসে রয়েছে লাইলাতুল কদর। আল্লাহ তাআলা বলেন : লাইলাতুল কদর সহস্র মাস অপেক্ষা উত্তম। সে রাতে ফেরেশতাগণ ও রুহ অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিই শান্তি, সে রজনি উষার আবির্ভাব পর্যন্ত। [সূরা আল-কদর : ৩-৫]
রমজান মাস দোয়া কবুলের মাস। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন : রমজান মাসে প্রত্যেক মুসলিমের দোয়া কবুল করা হয়।
শুভেচ্ছান্তে
আলহাজ্ব মোঃ রেদওয়ান খাঁন (বোরহান), ভয়েস বাংলা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ সময়: ৪:৩৪ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২০
protidin-somoy.com | anayet mojomdar
Development by: webnewsdesign.com