পদ্মাসেতুতে বসতে যাচ্ছে ৩৬তম স্প্যান। ইতোমধ্যে স্প্যান বসানোর প্রথম দিনের কাজ শেষ হয়েছে। আগামীকাল স্প্যান বসানোর পরিপূর্ণ কাজ শেষ হলে দৃশ্যমান হবে ৫ হাজার ৪০০ মিটার।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মাসেতুর ২ ও ৩ নম্বর পিলারের ওপর ‘ওয়ান-বি স্প্যানটি বসানো হবে। এই স্প্যানটি বসানো হলে পুরো সেতুতে পাঁচটি স্প্যান ও ৭৫০ মিটার দৃশ্যমান বাকি থাকবে।
মূল সেতুর সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর জানান, ৩৫তম স্প্যান বসানোর পাঁচ দিনের মাথায় ৩৬তম স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হয়।
প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, পদ্মাসেতুতে মোট ৪২টি পিলারে বসানো হবে ৪১টি স্প্যান। ইতোমধ্যে ৩৫টি স্প্যান বসিয়ে দৃশ্যমান হয়েছে ৫ হাজার ২৫০ মিটার। পুরো সেতু ৬১৫০ মিটার (৬.১৫ কিলোমিটার)।
বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) সকালে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের মাওয়ায় অবস্থিত কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডের স্টিল ট্রাস জেটি থেকে স্প্যানটি বহন করে ভাসমান ৩ হাজার ৬০০ টন সক্ষমতার ক্রেনটি তিয়াস-ই রওনা দিয়ে দুপুরে কাঙ্ক্ষিত পিলারের কাছে পৌঁছায়।
প্রকৌশলীরা জানান, ভাসমান ক্রেনটির অবস্থান করার জন্য আগেই পর্যাপ্ত গভীরতা ড্রেসিং করে আনা হয়। স্প্যানটি দুই পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থান করে সুবিধাজনক জায়গায় থেকে নোঙর করে রাখা হয়েছে। এখন শুধু পিলারের উচ্চতায় সপাঙটিকে রাখার কাজটি বাকি আছে, যা কাল হবে।
উল্লেখ্য, পদ্মাসেতুর নির্মাণের মূল কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
বাংলাদেশ সময়: ৭:০৮ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৬ নভেম্বর ২০২০
protidin-somoy.com | anayet mojomdar
Development by: webnewsdesign.com