নো মাস্ক নো সার্ভিস নির্দেশনা জারি হলেও সব ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না। কিছু স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান বাদে অনেক ক্ষেত্রেই উপেক্ষিত এ নির্দেশনা। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই নির্দেশনা জারি করেই কোনও পরিবর্তন আসবে না। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেয়ার তাগিদ দেন বিশেষজ্ঞরা।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে বাংলাদেশ সরকার ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ অর্থাৎ মাস্ক পরিধান ছাড়া কাউকে কোনও সেবা দেয়া হবে না বলে নির্দেশনা জারি করেছে। সরকারি ওই নির্দেশনার আওতায় সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলোতে কেউ মাস্ক ছাড়া গেলে তাদের বের করে দেয়ার কথাও বলা হয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানের কথাও তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তবে নির্দেশনা জারি করা হলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে তা পালনের গাফিলতি আছে। বিভিন্ন অফিস বাজার গণ-পরিবহনসহ সব জায়গায়ই মানুষ মাস্ক ছাড়া চলাচল করছে হরহামেশা।
মাস্ক ব্যবহারের বিষয়ে পথচারীরা বলেন, মাস্ক ছিল কোথাও মনে হয় পড়ে গিয়েছে এখন আবার কিনতে হবে। মাস্ক আছে ভুলে বাসায় রেখে আসছি। গণপরিবহনের সহকারীরা বলেন, আমরা যাত্রীদের বলার পরেও তারা মাস্ক ব্যবহার করছেন না। তবে কিছু স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানে বেশ কঠোরভাবেই পালিত হচ্ছে এ নির্দেশনা ।
মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ম্যানেজার বলেন, যদি দেখি কেউ মাস্ক ছাড়া চলে আসছে তাহলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে মাস্ক দিচ্ছি।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
আইডিসিআর এর উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, যারা দিন আয় করে দিন খায় তাদেরকে সক্ষম করে গড়ে তুলতে হবে। এছাড়াও মাস্কের প্রয়োজনীয়তা তাদের বুঝাতে হবে। সরকার এবং সংগঠনগুলোর ফ্রিতে মাস্ক বিতরণ করতে হবে বা কম দামে মাস্ক যাতে ক্রয় করতে পারে সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাক্কা মোকাবিলায় নিজে ও পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে মাস্ক ব্যবহারের বিকল্প নেই বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ সময়: ৭:২৬ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২০
protidin-somoy.com | anayet mojomdar
Development by: webnewsdesign.com