সারা দেশে সরকারের সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর থেকেই করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা করতে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ সদস্যরা। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা করতে গিয়ে অনেক পুলিশ সদস্যও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবুয় থেকে যায়নি পলিশ সদস্যদের করোনা ভাইরাস মোকাবিলার কাজ।
পলিশ সদস্যদের মাঝে পিছিয়ে নেই হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ সদস্যরাও। প্রতিদিনই ভোর থেকেই শুরু হয় পুলিশের জনসচেতনাতা মূলক ও সামাজিক দূরুত্ব নিশ্চিত করতে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। আর অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন রনি তিনিও নিজেই দিনের বেলায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে কাজ করছেন, রাতে ঘরে ঘরে খাদ্য বিতরণ করছেন।
এমন কর্মকান্ড দেখে হাজীগঞ্জ বাসী পুলিশ সদস্যদের প্রতি সেলুট দিচ্ছেন। শুক্রবার রাতে উপজেলার ৯নং গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়নের আহম্মদপুর, মোহাম্মদপুর, তারালিয়া ও মালিগাওঁ এর অর্ধশত পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন।
ওসি আলমগীর হোসেন রনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশের সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত শ্রেণীপেশার মানুষের পাশাপাশি নিম্ন মধ্যবিত্ত ও সাধারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণির স্বল্প আয়ের চাকরিজীবী ও অল্প পুঁজির ব্যবসায়ীদের একটি বড় অংশ বিপদগ্রস্ত।
দরিদ্র এবং নিম্নবিত্তদের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে অনেক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি সাহায্য করছে। কিন্তু বিপাকে আছেন করোনার কারণে একেবারে কর্মহীন হয়ে ঘরে বসে থাকা নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং সাধারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ।
এ দুই শ্রেণির মানুষরা সাধারণত খুব ছোট আকারের চাকরি, ব্যবসাসহ নানান সীমিত আয়ের পেশায় নিয়োজিত। শিক্ষিত সমাজের এ অংশটি অর্থকষ্টে ভুগলেও সামাজিক মান মর্যাদা ও লোকলজ্জার কারণে তাদের অভাবের বিষয়ে কারও কাছে তা প্রকাশ করতে পারছেন না। কারো কাছে সাহায্যও চাইতে পারছেন না। আবার একবারেই দিনমজুর শ্রেণী পেশার মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অভাব অনটনে রয়েছে স্বামী পরিত্যক্তা, বিধবা, বাসা-বাড়িতে কাজ করা কাজের বুয়ারাও।
এমন সব মানুষের পরিবারকে ”ভালবাসার উপহার দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন হাজীগঞ্জ থানার অফির্সার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন রনি।
বাংলাদেশ সময়: ৬:১০ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২০
protidin-somoy.com | anayet mojomdar
Development by: webnewsdesign.com