ব্রেকিং নিউজ

x


জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে দুঃস্থদের মাঝে ছাত্রলীগের খাবার বিতরণ

বুধবার, ২৮ জুলাই ২০২১ | ৮:২৭ পূর্বাহ্ণ

জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে দুঃস্থদের মাঝে ছাত্রলীগের খাবার বিতরণ

 

ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে সুবিধাবঞ্চিতদের মধ্যে খাদ্য, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে শতাধিক শিশুর মাঝে এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়। সারাদেশেই একসঙ্গে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে বলে ছাত্রলীগ নেতারা জানিয়েছেন। বিতরণ করা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, আম, প্যাকেটজাত দুধ, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, খাতা, কলম ও স্কেল।

এসব সামগ্রী বিতরণ শেষে ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, তরুণদের আইকন হয়ে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তরুণ প্রজন্মের আলোকবর্তিকা হয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন, আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগও প্রধানমন্ত্রী ও জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সব সময় কাজ করে যাব এবং শিক্ষার্থীদের যেকোনো ধরনের যৌক্তিক দাবিতে পাশে থাকব।’

ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের স্বপ্ন আমরা সর্বপ্রথম সজীব ওয়াজেদ জয়ের চোখে দেখেছিলাম। ২০০৯ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে তিনিই ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ঘোষণা করেছিলেন, যার সুফল আমরা এখন পাচ্ছি।

তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং সজীব ওয়াজেদ জয়- দুজনকেই আমরা পেয়েছি। তিনি মেধাবী একজন ব্যক্তিত্ব এবং পর্দার আড়ালে থেকে সঠিক একজন উদ্যোক্তা। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে অন্যান্য রাজনীতিবিদদের তুলনায় নিজেকে সমৃদ্ধ করে দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে তার মা, বাবা এবং জাতির পিতার মত করেই বাংলাদেশের মানুষকে দেখেছেন।”

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় মঙ্গলবারই তার জীবনের ৫০ বছর পূর্ণ করলেন। মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই ঢাকায় পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনা দম্পতির ঘরে জন্ম নেন জয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা ও বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন জয়। এরপর মায়ের সঙ্গে ভারতে চলে যান। সেখানেই কাটে শৈশব ও কৈশোরের দিনগুলো।

নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে পড়ালেখার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রি নেন জয়। পরে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে জনপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন।

জয় সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান ২০১০ সালে, নানা-মায়ের দল আওয়ামী লীগের আনুষ্ঠানিক সদস্য হয়ে। ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ দেওয়া হয় তাকে।

বর্তমানে দলীয় ঘরানা ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন জয়। ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে তিনি ‘গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ নির্বাচিত হন।

বাংলাদেশ সময়: ৮:২৭ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৮ জুলাই ২০২১

protidin-somoy.com |

Development by: webnewsdesign.com