‘জিম্বাবুয়েতে জিম্বাবুয়ে দল আমার মনে হয় আমাদের জন্য বেশ কঠিন। বিশেষত কন্ডিশনের জন্য। কারণ এই কন্ডিশনটা আমাদের জন্য একেবারেই নতুন আবার তারা এটাতে অভ্যস্ত। তো ওরা আমাদের দেশে যখন ট্যুর করে তখন ওদের যে টাইপের দল হিসেবে ট্রিট করি। আমি একশ ভাগ নিশ্চিত এখানে এসে ওভাবে ট্রিট করলে আমাদের জন্য কঠিন হবে সিরিজটা। আর এই কন্ডিশনে ওরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেশ ভালো কাজ করবে। ওরা কামব্যাক করে খুব কুইকলি। যদি কম্পেয়ার করা হয় আমাদের দিকে। আগে যেমন টিমের অবস্থা ছিল যদি কম্পেয়ার করা হয় দেখা যায় এখনকার টিম আরও ভালো।’ কথাগুলো বলছিলেন বাংলাদেশ দলের নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক।
পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে জিম্বাবুয়ে অবস্থান করছে টাইগাররা। দীর্ঘ যাত্রার পর একদিনের বিশ্রাম করেছে সফরকারীরা। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) প্রথমবারের মতো অনুশীলন করেছে ্বাংলাদেশ দল। ৭ জুলাই সফরের একমাত্র টেস্টে মুখোমুখি হবে দল দুটি। তার আগে ৩ ও ৪ জুলাই একটি প্রস্তুতি ম্যাচে অংশ নেবে মুমিনুল হক নেতৃত্বাধীন দলটি। বাংলাদেশ দলের সাবেক স্পিনার রাজ্জাক অবশ্য জিম্বাবুয়ের কন্ডিশনকে পেস সহায়ক হিসেবে দেখছেন।
‘এখানে নিশ্চিতভাবেই পেসাররা ডমিনেট করে। যেমন বাংলাদেশে বা সাব কন্টিনেন্টে খেলা হলে যেমন স্পিনাররা ডমিনেট করার সুযোগ থাকে। এখানে আসলে পেস বোলাররা ডমিনেট করে খুব স্বাভাবিকভাবে। কিন্তু স্পিনারদের কিন্তু এখানে ভালো রোল প্লে করতে হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে থাকে রান আটকে রাখা। কিছু বেক থ্রু এনে দেওয়া যদি কখনো পেস বোলাররা স্ট্রাগল করে। আর এখানে যে স্পিন হবে না বা হয় না এমন চিন্তা করে নেওয়া আমি মনে করি না ভালো কোনো কিছু। কারণ প্লেয়াররা খেলবে আমি চাই না তাদের মনে ঢুকে যাক যে এটা স্পিন কন্ডিশন না। কারণ যেকোনো প্লেয়ারকে সব কন্ডিশনে খেলতে হবে। এডজাস্ট করতে হবে। যে যত কুইকলি এডজাস্ট করতে পারবে সে তত ভালো খেলোয়াড়।’
এই সফর দিয়েই সাকিব আল হাসান, তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজদের পরামর্শক হিসেবে যোগ দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক স্পিনার রঙ্গনা হেরাথ।
রাজ্জাকের ভাষায়, ‘অবশ্যই হেরাথ এসেছে, ওতো অনেক অভিজ্ঞ প্লেয়ার, বিগ স্টার যখন প্লেয়ার ছিল। আমি নিশ্চিত সে অনেক অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারবে আমাদের প্লেয়ারদের সঙ্গে। আর আমার ব্যাপারটা হচ্ছে হেরাথ তো আছে তাও ওদের যদি কখনো প্রয়োজন হয় আমি সবসময় পাশে আছি।’
বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম সেরা বোলার আব্দুর রাজ্জাক। ১৩ টেস্ট, ১৫৩ ওয়ানডে ও ৩৪ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। যথাক্রমে ২৮, ২০৭ ও ৪৪ উইকেট রয়েছে তার নামের পাশে। বর্তমানে তার দায়িত্ব ভিন্ন। দলের নির্বচক হিসেবে সফর করছেন তিনি।
‘নতুন রোল অবশ্যই এটা আমার জন্য একটা ভিন্ন অভিজ্ঞতা। আর জিম্বাবুয়ের এই এটমোস্পেয়ারটা আমার ভালো লাগে ক্রিকেটের জন্য। এখানের যে ওয়েদার, ওটা ভালো। উইকেটটা একটু কঠিন থাকে বিশেষত স্পিনারদের জন্য। তাছাড়া বাকি সবকিছু…সুন্দর ওয়েদার, এটমোস্পেয়ার। আর ফ্যাসিলিটর কথা যদি বলেন, কিছু কম্প্রোমাইজ তো করতেই হয়। সকিছু মিলিয়ে ভালো। এবার আসলে প্লেয়ার হিসেবে না অফিশিয়াল হিসেবে একটু ভিন্ন রকম লাগছে। এর আগে যতবারই এসেছি প্র্যাক্টিস করছি, কাজ করে চলে গিয়েছি। এবার দেখা কাজ, একটু তো ডিফারেন্ট আছেই দুইটার মধ্যে।’
বাংলাদেশ সময়: ৭:২২ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০২ জুলাই ২০২১
protidin-somoy.com | anayet mojomdar
Development by: webnewsdesign.com