ইউরোপে করোনা মোকাবেলায় সফলতার পর এবার ধর্মীয় সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করল বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ জার্মানী। করোনায় দেশটির রাজধানীতে বসবাসরত ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা যাতে নামাজ আদায় ও ইবাদত করতে পারেন এজন্য খুলে দেয়া হয়েছে খ্রিস্ট সম্প্রদায়ের একটি গীর্জা।
প্রাণঘাতী করোনার লকডাউনে জার্মানীর মসজিদগুলোতে নামাজ আদায় করতে যেতে পারছেন না মুসল্লিরা। বিশেষ করে বার্লিন শহরে বসবাসরতরা বেশি বিপাকে রয়েছেন। মুসলিমদের সমস্যার বিষয়টি বিবেচনা করে বার্লিনের খ্রিস্ট সম্প্রদায়ের এভাংগালিউম মার্থা গীর্জা খুলে দিয়েছে এর সার্বজনীন কমিটি।
ফলে এখন মুসল্লিরা গীর্জার মূল মিলনায়তনে নামাজ আদায় করছেন। এতে দারুন খুশী ইমামসহ গীর্জায় নামাজ আদায় করতে আসা সর্বস্তরের মুসল্লিরা।
গীর্জায় নামাজ আদায় করা এক মুসল্লি বলেন, আমি এই প্রথমবারের মত গীর্জায় নামাজ পড়লাম, সে এক দারুন অভিজ্ঞতা! বলে বোঝানো যাবে না।
অপর এক হুজুর বলেন, দেখুন ইসলামে নামাজ কিংবা ইবাদত বন্দেগীর স্থান বিষয়ে কোন বিধি নিষেধ নাই। আপনি যেখানে সেখানে মহান আল্লাহকে ডাকতে পারেন।
গীর্জায় নামাজের ইমামতি করা হুজুর বলেন, এই গীর্জায় নামাজের ইমামতি করতে পেরে আমি গর্বিত, আমি বলব এই মার্থা গীর্জা আমাদের ইসলামের প্রতি দারুন সম্মান দেখিয়েছে। যার যার ধর্ম তার তার কাছে শ্রদ্ধার ও বিশ্বাসের। আমরাও যাতে মহান আল্লাহর নির্দেশনায় খ্রিস্ট থেকে শুরু করে প্রত্যক ধর্মকে সম্মান শ্রদ্ধা করি একজন মুসলিম হিসেবে এই প্রার্থনা করি।
এদিকে করোনার মহাসংকটে ভিন্ন ধর্মের মানুষের মাঝে সৌহার্দ্যের নতুন সম্পর্ক সৃষ্টি ও বার্লিনের সর্বস্তরের মুসলমানদের জন্য প্রার্থণার জায়গা করে দিতে পেরে খুশী মার্থা গীর্জার পাদ্রী মনিকা মাথিয়াস।
গীর্জার পাদ্রী মনিকা মাথিয়াস বলেন, এভাংগিলিউম সার্বজনীন মার্থা গীর্জা কমিটি করোনার মহাসংকটে এখন আমরা সবাই। হঠাৎই আমরা ভাবলাম ভিন্ন কিছু করি যাতে অন্য সম্প্রদায়ের মানুষের উপকার হয়। সবকিছু মিলিয়ে আমরা সবার কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি, কিছু মানুষ আবার বিরোধিতাও করেছে। তারপরও বলব, এমন মহতী উদ্যোগ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যাক। মানুষে মানুষে তৈরি হোক বন্ধন।
বাংলাদেশ সময়: ৭:৪০ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ৩০ মে ২০২০
protidin-somoy.com | anayet mojomdar
Development by: webnewsdesign.com