ব্রেকিং নিউজ

x


চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে সেই স্কুলছাত্রী রমজানের ঘরে

সোমবার, ২৮ জুন ২০২১ | ৭:৩৮ পূর্বাহ্ণ

চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে সেই স্কুলছাত্রী রমজানের ঘরে

জানা গেছে, প্রেমের সমর্কের নিষ্পত্তিতে বৈঠকে ডেকে স্কুল ছাত্রীকে বিয়ের পিরিতে বসানো আবার একদিন যেতে না যেতেই বিচ্ছেদ ঘটিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ের ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমসহ স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। কেউ কেউ মনে করছেন নির্বাচনে বিজয়ের পর আরেকটি বিজয়ের হাসিতে প্রফুল্লতায় নানান জনের নানা প্রশ্নের জবাব দিলেও স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চেয়ারম্যান। সামাজিক ও পারিবারিক চাসসহ আইনী জটিলতা এড়াতেই কৌশলে সে তালাকনামায় স্বাক্ষর রেখেছেন ছাত্রী নসিমনের কাছ থেকে।

অবশেষে প্রেমিক রমজানের ঘরেই চেয়ারম্যানের বিয়ে করা সেই ছাত্রী নাজনিন আক্তার নসিমন (১৪)। বিয়ের একদিন পরেই চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে রোববার (২৭ জুন) সকালে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয় প্রেমিক রমজানের সঙ্গে রমজানের মামার বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফলের কুম্ভখালী গ্রামে। আগের দিন গতকাল শনিবার রাতে চেয়ারম্যান শাহীন হওলাদারকে (৬০) তালাক দেয় সে।

নসিমন জানায়, প্রেমিক রমজানের সঙ্গে বিয়েতে শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে সে। সম্মতি ছাড়াই গত ১৮মে একই উপজেলার তাঁতেরকাঠী গ্রামের দুঃসম্পর্কের আত্মীয় সোহেল আকন নামে এক গার্মেন্ট কর্মীর সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয় তাকে। কথাও হয় কোরবানির ঈদে অনুষ্ঠানিক তুলে দেয়ার। স্থানীয় নুরাইনপুর বন্দরে সামান্য সময়ের দেখা হয় সোহেলের সঙ্গে তার। তবে পঞ্চম শ্রেণিতে থাকাকালীন নানা ইউনুচ কাজী বাড়ির সামনের মসজিদে কোরান শরীফ পড়তে গিয়ে ওই মসজিদের পেশ ইমাম রমজানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয় তার। বছর তিনেক পরে জানাজানি হলে যোগাযোগ বন্ধ হয় দু’জনের। মোবাইলফোনে যোগাযোগ হয় ফের। ঈদে সোহেলের বাড়িতে তুলে দেয়া আর ভবিষ্যৎ ভেবে গত ২৪ জুলাই ঘর ছাড়ে তারা। পালিয়ে চুনারপুল থেকে মোটরসাইকেলযোগে ওঠে দু’জন রমজানের মামা কুম্ভখালীর শাহআলমের বাড়িতে। এসব নিয়ে দ্বন্দ্ব বাধে রমজান ও নসিমনের পরিবারে।

শুক্রবার চেয়ারম্যানের কাছে নিষ্পত্তির জন্য গেলেই শুরু হয় অঘটনের। রমজানকে পাওয়া যাবে না সোহেলের সঙ্গে বিচ্ছেদ না হলে ঠিক এভাবেই বুঝিয়েই কাজী ডেকে সোহেলের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর একটি রুমে একাকি ডেকে নিয়ে চেয়ারম্যান নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। দুষ্টুমি ভাবলেও নসিমনের বাবার সম্মতি আদায় করে কাজির মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকার কাবিন করেন ওই চেয়ারম্যান। আর এ জন্যই আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় ও হাসপাতালে যায় রমজান। এবার রমজানকে নিয়েই সুখি হতে চায় সে। ওই দিন সালিশ বৈঠকে এমন অঘটন ঘটবে বুঝতে পারেনি নসিমন।

চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, শাহীন হওলাদারের ছেলে তুষারসহ আত্মীয়স্বজনের চাপ আর আইনীজটিলতার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে শনিবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে তালাক নামা রাখেন চেয়ারম্যান। নানা ইউনুচ কাজী, নুরুল ইসলাম মেম্বরসহ কয়েজন বাড়ির পথে এগিয়ে দেয় নসিমনকে।

রমজানের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব না হলেও তার ভাই পরিচয়ে একজন বলেন, ‘আমি অরে ছাড়া বাঁচমু না। অরে আমার ধারে আনইন্না দেন বিয়ের আগে বলছিল সে।’

কনকদিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল চন্দ্র জানান, নাজনীন আক্তার নসিমনকে ৮ম শ্রেণির নিয়মিত ছাত্রী

বাংলাদেশ সময়: ৭:৩৮ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৮ জুন ২০২১

protidin-somoy.com |

Development by: webnewsdesign.com