চাঁদপুর সরকারি জেনারেল (সদর) হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ফাতেমা বেগম (৪০) করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। তার মৃত্যু পরবর্তী সংগৃহীত নমুনা টেস্টের রিপোর্ট করোনা পজেটিভ এসেছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে চাঁদপুরের স্বাস্থ্য বিভাগে ওই রিপোর্ট আসে।
এ নিয়ে চাঁদপুর জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪জন। এই ৪জনের সবার’ই মারা যাওয়ার পর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। ২জন সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তির কয়েক ঘন্টা পর এবং ২জন বাড়িতে মারা গেছেন।
ফাতেমা বেগম চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী মাদ্রাসা রোড এলাকার মুন্সী বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার স্বামীর নাম মৃত জাহাঙ্গীর। তাদের বাড়ি হাজীগঞ্জের পূর্ব রাজারগাঁও গ্রামে। তিনি ১ ছেলে ও ১ মেয়ের জননী ছিলেন।
ফাতেমা বেগম গত শুক্রবার (১ মে) রাত ৮টার দিকে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সদর হাসপাতালে আসেন। তখনি তার অবস্থা গুরুতর দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি দেন। ভর্তির দেড় ঘন্টার মাথায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান।
এরপর তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বিশেষ ব্যবস্থায় রাজারগাঁওয়ে গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করা হয়। সেখান দাফন করার ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকার লোকজন বাধার সৃষ্টি করেছিল। পরে হাজীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেনের হস্তক্ষেপে ও উপস্থিতিতে ভোর রাতে মৃতের দাফন সম্পন্ন হয়।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল (সদর) হাসপাতালের আরএমও ও করোনা বিষয়ক ফোকালপার্সন ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল ওইদিন জানিয়েছিলেন, ফাতেমা বেগমের মধ্যে করোনার উপসর্গ বিদ্যমান ছিল। রিপোর্টে তার প্রতিফলন হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১২:৫৭ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৫ মে ২০২০
protidin-somoy.com | anayet mojomdar
Development by: webnewsdesign.com