ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডির আঘাতে মালাবি-মোজাম্বিকে নিহত ৪০০ ছাড়াল
আফ্রিকার দেশ মালাবি এবং মোজাম্বিকে ক্রান্তীয় ঝড় ফ্রেডির আঘাতে নিহতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে অর্ধশতাধিক মোজাম্বিকে। বাকিরা সবাই মালাবি এবং মাদাগাস্কারে নিহত হয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
যে পথে কাদার স্রোত নেমে এসে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে ব্লানটায়ারের পুরো একটি গ্রামকে।
যে পথে কাদার স্রোত নেমে এসে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে ব্লানটায়ারের পুরো একটি গ্রামকে।

মালাবি, মোজাম্বিক এবং মাদাগাস্কার সরকারের দেয়া তথ্যানুসারে মালাবিতে নিহত হয়েছেন ৩২৬ জন, মোজাম্বিকে ৫৩ এবং মাদগাস্কারে ২৭ জন।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) মতে, ফ্রেডি দক্ষিণ গোলার্ধে রেকর্ড হওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলোর অন্যতম এবং খুব সম্ভবত সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়।

আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, ভারত মহাসাগর পেরিয়ে গত শনিবার (১১ মার্চ) মোজাম্বিকের মধ্যাঞ্চলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডি। এ সময় এর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার।

মালাবির প্রেসিডেন্ট ল্যাজারাস চাকবেরা বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর কুইন এলজিাবেথ হাসপাতালে দুর্গতদের পরিদর্শন করেন এবং সেখানে তিনি সম্মিলিত প্রার্থনায় অংশ নেন। এ সময় তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডির আঘাতে আহতরে সংখ্যা অন্তত ৭০০ জন।

ডক্টর উইদাউট বর্ডার্সের প্রধান মারিওন পেচায়ার জানিয়েছেন, মালাবির বেশিরভাগ ঘরবাড়ি মাটি ও টিনের তৈরি। ঝড়ে টিনের চাল মানুষের মাথায় ভেঙে পড়েছে।

মালাবি প্রাকৃতিক সম্পদ ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) এক বিবৃতিতে বলেছে, ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হয়ে গেছে। তবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে এখনও প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

মোজাম্বিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কিছু অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং ফোনের সংকেত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় মোজাম্বিকে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির সংখ্যা এখনও স্পষ্ট নয়।

মোজাম্বিকের আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, গত চার সপ্তাহে এক বছরের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। তারা জানিয়েছে, এতে নদীগুলোর বাঁধ ভেঙে ব্যাপক বন্যা হতে পারে।