গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে নাসিমা আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। হত্যার পর বন্যার পানিতে নিমজ্জিত পাট ক্ষেতে লাশ ফেলে পালিয়েছেন স্বামী।
মঙ্গলবার (৩০ জুন) রাতে উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের পাড়াসাদুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরাঞ্চল পাড়াসাদুয়া গ্রামের শুকুর আলীর মেয়ে নাসিমা আক্তার ছবিরনের (৩০) প্রথম স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর ঢাকায় গার্মেন্টে চাকুরি করতেন। সেখানে মধু মিয়া (৩৮) নামে এক প্রবাসীর সাথে নাসিমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের টানে মধু মিয়া দেশে ফিরে এলে প্রায় দুই বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। মধু মিয়া গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার হরিপুর গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ঢাকাতেই বসবাস করতেন। করোনাভাইরাসের কারণে তারা দুজনেই মাসখানেক আগে নাসিমার বাবার বাড়িতে ছিলেন। তবে বন্যায় নাসিমার বাবার বাড়ি তলিয়ে যায়। এ অবস্থায় ওই বাড়ির লোকজন পার্শ্ববর্তী উঁচু বাড়িতে অবস্থান নিলেও নাসিমা ও তার স্বামী মধু মিয়া সেখানেই উঁচু বিছানা বানিয়ে রাত যাপন করতে থাকেন। গত মঙ্গলবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে নাসিমার ভাই জাহাঙ্গীর আলমসহ কয়েকজন বন্যার পানি ভেঙে ওই বাড়িতে ঢুকে তাদের দেখা না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। একপর্যায়ে বিকাল ৪টার দিকে বাড়ির ৫০ গজ দুরে পাট ক্ষেতে নাসিমার হাত-পা বাঁধা লাশ ভেসে উঠে।
এরপর খবর পেয়ে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে নাসিমার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নাসিমার ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে বুধবার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করেছেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহিল জামান বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ৬:১৬ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০১ জুলাই ২০২০
protidin-somoy.com | anayet mojomdar
Development by: webnewsdesign.com