ফেনীর দাগনভূঁঞায় এক কিশোরী ফেনী শহরে ডাক্তার দেখাতে আসেন। ডাক্তার দেখাতে রাত ৮টা বাজে। তখন কিশোরী নিজ বাড়িতে যাওয়ার জন্য একটি অটোরিকশায় উঠেন। পরবর্তীতে অটোরিকশা চালক নানাভাবেই রাস্তায় কালক্ষেপণ করে রাত ১টা বাজায়। পরে ওই কিশোরীকে রিকশাচালক নিজের নিয়ে রাতভর আটকে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার খুরশিদ আলম (৩৪) নামে রিকশাচালককে আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।
খুরশিদ আলম ফেনীর দাগনভূঁঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের খুশীপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় একজন অটোরিকশা চালক।
জানা গেছে, গত বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই নির্যাতিত কিশোরী দাগনভূঁঞা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রিকশাচালক খুরুশিদকে গ্রেপ্তার করে। পরে আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায় , ওই কিশোরী গত বুধবার বিকেলে ডাক্তার দেখাতে ফেনী শহরে যায়। ওই দিন রাত ৮ টার দিকে ফেনীর মহিপাল এলাকা থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশায় ওঠেন। অটোরিকশায় আরও একজন যাত্রী ছিল। পথিমধ্যে ওই যাত্রীর গন্তব্য শেষ হওয়ায় তিনি নেমে চলে যান। এরপর অটোরিকশার একমাত্র যাত্রী ছিল ওই কিশোরী। অন্যযাত্রী নেমে যাওয়ার পরে অটোরিকশা চালক নানাভাবে সময় ক্ষেপণ করেন। পরে রাত প্রায় একটার দিকে কিশোরীকে দাগনভূঁঞা উপজেলার খুশীপুর গ্রামে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়।
খুরশিদ মুঠোফোনে তার বন্ধু মো. রাসেলকে বাড়িতে নিয়ে আসে। রাতে তারা দুই বন্ধু খুরশিদ ও রাসেল মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এক সুযোগে ওই কিশোরী খুরশিদের বাড়ি থেকে পালিয়ে পাশের এক বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নিজ বাড়িতে যায় এবং পরে দাগনভূঁঞা থানায় মামলা করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দাগনভূঞা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) পার্থ প্রতীম দেব বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ওই কিশোরী নিজেই বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অপর আসামি রাসেলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ৯:০৫ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০২ জানুয়ারি ২০২১
protidin-somoy.com | anayet mojomdar
Development by: webnewsdesign.com