কেঁচো খুঁড়তে যেন সাপ বেরিয়ে আসার অবস্থা। ছেলে ইরফান সেলিম নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনার পর বেরিয়ে আসছে হাজী সেলিম পরিবারের নানা অপকর্মের কাহিনী। রয়েছে দখল আর আতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগ।
ঢাকা-৭ আসনে এই পরিবারের এতোটাই দাপট আর ভয়ঙ্কর রূপ যে প্রকাশ্যে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা তো দূরের কথা ভুক্তভোগী কেউ মুখ খুলতেই সাহস পায় না। অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রণে আলাদা ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ নিয়ে ওয়াকিটকি চালানোর বিষয়ে জানতো না পুলিশ।
লালবাগ চকবাজার এলাকায় সেলিম পরিবারের কথায় সব হয়। এর ব্যতিক্রম হলে রেহাই নেই। এভাবে সবকিছু ভালোই চলছিল। তবে সামান্য মোটর সাইকেলের এক টোকা, হাজী সেলিমের মজবুত দুর্গ যেন চুরমার করে দিল। র্যাবের অভিযানে সন্ধান মেলে টর্চার সেলের।
চকবাজার এলাকায় অনুসন্ধানে গেলে সংসদ সদস্য আর তার ছেলে ইরফানের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি। চকবাজারে পরিচিত জাহাজ বিল্ডিংসহ নানা স্থাপনা দখলে নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ আছে এই পরিবারের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগীরা জানান, আমাদের সব কিছু দখল করে নিয়ে গেছে। আগে আমরা ভয়ে কিছু বলতেই পারি নাই। কিছু বললে শুরু হয়ে যেত নির্যাতন।
সেলিম পরিবারের বিরুদ্ধে জমি দখল নিয়ে থানায় মামলা ও জিডি থাকলেও প্রতিকার পায় না ভুক্তভোগীরা। মদিনা গ্রুপের বহু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও আইন অমান্য করে এখনও অনেক সরকারি জায়গা দখলের অভিযোগ রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ বন্দর ও পরিবহন পরিচালক কাজী ওয়াকিল নেওয়াজ বলেন, কিছুদিন আগে আমরা কামরাঙ্গীর চরে একটা সিমেন্ট গোডাউন আর অফিস ঘর উচ্ছেদ করেছিলাম। একটা শেডেও আমরা অভিযান চালিয়েছিলাম। সেখানে রড সিমেন্টর ব্যবসা করা হতো। এইসব কিছু দখল করা হয়েছিল হাজী সেলিমের কোম্পানির নামে।
সেলিম পরিবারের সব ধরনের অপকর্মের বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে, আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
বাংলাদেশ সময়: ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০
protidin-somoy.com | anayet mojomdar
Development by: webnewsdesign.com