সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকায় রাস্তার পাশে বস্তাবন্দি অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অজ্ঞাত মরদেহটি উদ্ধারের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ১০ জুন পরিচয় পাওয়া যায়। সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার দত্তগ্রামের ইউনুস আহমদ শামীম (৩৮)। তিনি পেশায় ছিলেন একজন মুহুরী। শামীমকে হত্যা করে কে বা কারা মরদেহটি ফেলে যায়? এমন প্রশ্ন যখন পুলিশের তখন এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে পুলিশের পাশাপাশি মাঠে নামে র্যাব।
অবশেষে ক্লু-লেস এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য বের করে র্যাব-৯। দক্ষিণ সুরমা থানায় দায়ের হওয়া মামলার সূত্রে র্যাব জানতে পারে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত এক দম্পতি। কুপ্রস্তাব দেয়ায় শামীমকে সিলেটের বিয়ানীবাজারে বাড়িতে পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে খুন করেন ওই দম্পতি ও তাদের এক সহযোগী।
শুক্রবার (১২ জুন) গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভোররাত চারটার দিকে র্যাব-৯ এর কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল আবু মুসা মো. শরীফুল ইসলামের নেতৃত্বে এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সামিউল আলমসহ একটি আভিযানিক দল পৌঁছে সিলেটের মোগলাবাজার থানার শ্রীরামপুর এলাকায়। সেখানে গিয়ে গ্রেফতার করা হয় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকা দম্পতিকে। তবে পলাতক রয়েছেন তাদের এক সহযোগী।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মৌসুমী বেগম (২৩) ও তার স্বামী রুহুল আমিন (৩৫)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
আসামীরা স্বীকারোক্তিতে জানান, খুন হওয়া ইউনুস আহমদ শামীম (৩৮) মৌসুমী বেগমকে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চাপ এবং উত্যক্ত করতেন। যার প্রতিশোধ নিতে মৌসুমীর স্বামী রুহুল আমীন ও তার বন্ধু পলাতক আসামী শাহেদ এই হত্যার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করেন। গত বুধবার (১০ জুন) ইউনুস আহমদ শামীমকে বিয়ানীবাজারে নিজ বাড়িতে ডেকে নেয়। অনুমান রাত একটার দিকে শামীমকে হত্যা করে মৃতদেহ বস্তায় ভরে দক্ষিণ সুরমার ধোপাঘাট এলাকার রাস্তার পাশে ফেলে দেয়।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য পলাতক আসামী শাহেদকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
বাংলাদেশ সময়: ৭:১০ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৩ জুন ২০২০
protidin-somoy.com | anayet mojomdar
Development by: webnewsdesign.com