সারাদেশে করোনা সংক্রমণ কমাতে সরকারের ঘোষিত কঠোর লকডাউন অমান্য করে সড়কে বের হচ্ছেন মানুষ। ভিড় জমাচ্ছেন চায়ের দোকান থেকে শুরু করে মোদির দোকানে। কঠোর লকডাউন এখন ‘কাজীর গরু খাতায় আছে গোয়ালে নেই’ এমন অবস্থায় এসেছে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় শনিবার ঘুরে দেখা গেছে, কঠোর লকডাউনের মধ্যেও মানুষ প্রয়োজনে ও অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হয়েছেন। গণপরিবহন না থাকলেও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, রিকশা, প্রাইভেটকার, পিকআপ সহ বিভিন্ন ধরনের যাববাহনের চাপে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েকদিনের তুলনায় সড়কে গড়ি চাপ বেশি। পাড়া মহল্লার দোকানপাটও স্বাভাবিক সময়ের মত খোলা। যেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সম্ভব হচ্ছে না।
করোনা সংক্রমণ কমাতে গত ১ জুলাই দেশে কঠোর লকডাউন জারি করা হয়। ঈদুল আজহা উপলক্ষে লকডাউন শিথিল করে মানুষের চলাচল স্বাভাবিক করে দেয় সরকার। ঈদের পর ধাপে ধাপে ১০ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউনের মেয়াদ বাড়ালেও তা মানছে না অনেকেই। দিন যত যাচ্ছে, রাস্তাঘাটে মানুষও তত বাড়ছে, জীবিকার তাগিদে মানুষ আর বিধিনিষেধ মানতে চাইছে না।
রাজধানীর গাবতলী, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, আজিমপুর এলাকায় রিকশা, ভ্যান ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল বেশ বেড়েছে।
আজিমপুর এলাকায় মোশাররফ হোসেন কাগজ প্রিন্ট করার জন্য ঘর থেকে বের হয়েছেন। তিনি বলেন, মার্কেটে প্রিন্টের দোকানের সার্টার বন্ধ থাকলেও ভেতরে দোকানদার রয়েছেন। আরেকজন শিয়া মসজিদ বাজারে ক্রেতা আলী আহমেদ বলেন, বাজারে বোঝার উপায় আছে যে লকডাউন চলছে। এই লকডাউন মানে এখন নামে। কাজীর গরুর মত- খাতায় আছে, গোয়ালে নেই। এসব বিষয়ে কঠোর হওয়া উচিত।
মতিঝিল শাপলা চত্বরের কাছে ফুটপাতে জিন্স প্যান্ট বিক্রেতা শফিক বলেন, লকডাউনের কড়াকড়ি কমে গেছে। দেখেন, সকাল থেকে মতিঝিল সড়কে প্রচুর প্রাইভেট কার এসে রাস্তার দুই ধারে পার্কিং করা। এখানকার প্রতিষ্ঠানে এখন পুরোদমেই কাজ-কর্ম চলছে।
শনিবার কর্মব্যস্ত হয়ে উঠেছে মিরপুর। এলাকার দোকানপাট খুলেছে, মানুষের চলাচল বেড়ে যাওয়ায় কারণে রিকশাচালকরাও ব্যস্ত। তবে প্রচন্ড গরমে অনেকেই মাস্ক ছাড়াই চলাচল করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ৭:৩৩ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৮ আগস্ট ২০২১
protidin-somoy.com | anayet mojomdar
Development by: webnewsdesign.com