দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনার সংক্রামণের মধ্যে ঝুঁকি নিয়েই কাজ করতে হয় সংবাদকর্মীদের। অনেক প্রতিষ্ঠান ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ দিলেও সংবাদ সংগ্রহে অনেককে বিভিন্ন স্থানে ছুটে যেতে হয়। এরই মধ্যে দেশে বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। কেউ বা আবার স-পরিবারে কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
চলমান পরিস্থিতিতে দেশে প্রথম আলো, মানবজমিনসহ বেশ কিছু পত্রিকায় পরিবর্তনের ছাপ স্পষ্ট দেখা গেছে। কিছু পত্রিকার পাতা কমানো হয়েছে। অনেক বেসরকারি টেলিভিশনের সংবাদ কর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তাদের কাজের ধরনের পরিবর্তন এনেছেন।
এমন পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ অনলাইন বা ইলেকট্রনিক মিডিয়া তাদের কর্মীদের ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু তারপরেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে নানান প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে গণমাধ্যমকর্মীদের।
প্রধানত ইলেট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক এবং ক্যামেরাম্যানদের সীমিত আকারে হলেও বাইরে যেতে হয় অ্যাসাইনমেন্ট কাভার করতে। তারা চেষ্টা করেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে। অনেকে মাস্ক, গ্লাভস তারা ঠিক মতো পড়লেও বাড়তি সতকর্তা প্রয়োজন বলে মত সংশ্লিষ্টদের।
অনেক সংবাদকর্মী পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) বা ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম পড়লেও সবার পক্ষে তা সম্ভব হচ্ছে না।
তবে, ফটো সাংবাদিক আর টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যানদের বাইরে যেতেই হয়। তাই তাদের অনেকেই নিরাপদ থাকতে সচেষ্ট। এছাড়া যারা সরেজমিন প্রতিবেদন করেন তাদের বাইরে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। তারাও যতটুকু সম্ভব সুরক্ষিত থাকার চেষ্টা করেন।
এ ছাড়া মফস্বল সাংবাদিকদের কথা কে বলবে? দেখা যায়, মফস্বল থেকে সংবাদ না পাঠানো হলে পত্রিকার পাতা বন্ধ হয়ে যাবে। এ ছাড়াও পত্রিকা বা অনলাইন থেকে বলা আছে যখনই ঘটনা তখনই সংবাদ পাঠাতে হবে, না হয় চাকুরি থাকবে না।
আর যারা অফিসে কাজ করেন, তারাও চেষ্টা করছেন সামাজিক দূরত্ব মানতে। নিউজরুমে গুলোতে এখন নিয়মিত জীবানুনাশক স্প্রে করা হয়। সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রবেশ পথেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকে। আছে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ও শরীরের তাপ মাপার যন্ত্র। চেয়ারে বসে প্রথমেই স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবানুমুক্ত করেন সংবাদমাধ্যম কর্মীরা।
চলমান পরিস্থিতিতে টকশোর অতিথিরা বাসা থেকেই যুক্ত হচ্ছেন জুম বা স্কাইপে। উপস্থাপকও অনেক সময় বাসা থেকে কাজ করেন।
টেলিভিশন সাংবাদিকদের কেউ কেউ বাড়তি সতর্কতার অংশ হিসেবে এখন লম্বা বুম ব্যবহার করেন।
বাংলাদেশ সময়: ৫:৫৭ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২০ এপ্রিল ২০২০
protidin-somoy.com | anayet mojomdar
Development by: webnewsdesign.com