ব্রিটেনের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাদের অ্যাজমা বা শ্বাসজনিত অন্য সমস্যা রয়েছে, যদি তাদের নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, তাহলে তাদের মাস্ক পরা উচিত নয়। সেক্ষত্রে এসব ব্যক্তিদের মাস্কের পরিবর্তে কাপড় দিয়ে মুখ ঢাকার পরামর্শ দিচ্ছে ব্রিটিশ সরকার। একইসঙ্গে দুই মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে বলছে। খবর ডেইলি মেইলের।
যেহেতু করোনাভাইরাস রেসপিটেররি ভাইরাস, তাই নিঃশ্বাসের মাধ্যমে এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু যাদের অ্যাজমা বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) বা সিস্টিক ফাইব্রোসিসের মতো অসুখ রয়েছে, সেক্ষেত্রে তাদের মাস্ক পরে বা মুখ ঢেকে নিঃশ্বাস কষ্ট হবে।
মাস্কের কারণে মানুষের ফুসফুসে বাতাস ঢুকতে বাধাপ্রাপ্ত হয়। এর ফলে অনেক রোগীর অ্যাজমার মতো পরিস্থিতি এবং উদ্বেগ তৈরি হতে পারে। কিন্তু করোনা থেকে বাঁচতে মাস্ক পরা জরুরি। তবে ব্রিটিশ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এজন্য নিজের স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা যাবে না।
ব্রিটেনের মন্ত্রিপরিষদ অফিস সরকারি নির্দেশনায় বলেছে, আবদ্ধ স্থানে যেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয় এবং যেখানে সাধারণত দেখা হয় না এমন মানুষের সংস্পর্শে আসবেন- সেসব স্থানে পারলে মুখ ঢাকুন। এটা স্বল্প সময়ের জন্য জনাকীর্ণ আবদ্ধ স্থানের জন্য প্রযোজ্য, যেমন- গণপরিবহন বা কিছু দোকানের ক্ষেত্রে।
সেখানে আরও বলা হয়, দুই বছরের কম বয়সী শিশু বা যারা ঠিকভাবে পরতে পারে না তাদের ক্ষেত্রে ফেস কভারিং ব্যবহার করা উচিত নয়। উদাহরণস্বরূপ, নিজেরা কিছু করতে পারে না এমন শিশু বা যাদের শ্বাসজনিত সমস্যা রয়েছে,তাদের কথা বলা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২০ মে ২০২০
protidin-somoy.com | anayet mojomdar
Development by: webnewsdesign.com