সৌদি আরবে ফিরতে প্লেনের টিকিট না পেয়ে আগের দিন সোমবারের মতো আজ মঙ্গলবারও রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে হাজারা হাজার প্রবাসী। আগামী ৮ দিনের মধ্যে কর্মস্থলে ফিরতে না পারলে তাদের বেশির ভাগই কাজ হারাবে। তাই জীবিকা বাঁচাতে রাজপথে নেমেছেন প্রবাসীরা। যে কোনো উপায়েই হোক, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদেরকে ফিরতেই হবে।
কিন্তু হঠাৎ করে কেন এমন জটিলতা? মূলত বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এবং সৌদি আরবের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ফ্লাইট বাতিলের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর দিয়েছে। তার সাথে যোগ হয়েছে- ‘বিদেশি শ্রমিকদের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফিরতে হবে’ সৌদি সরকারের এমন সিদ্ধান্ত।
আমরা জানি, করোনাভাইরাসের কারণে বহু প্রবাসীর ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্লাইট বন্ধ থাকায় তারা কর্মস্থলে যেতে পারেনি। আর তাতেই অনেকে বিপদে পড়েছেন। ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া প্রবাসীরা নানাভাবে চেষ্টা করছেন কাজে ফিরতে।
এরমধ্যে দুইদিন আগে সৌদি আরব বাংলাদেশের সব ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করে। এরপর বাংলাদেশও সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বাতিল করে দেয়। তারপরই শুরু হয় এমন জটিলতা। এখন অন্তত ৩০ হাজার প্রবাসীর কাছে একটি টিকিট জীবন-মরণের বিষয় হয়ে উঠেছে।
পরিস্থতি যখন এমন, তাহলে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন? সৌদি সরকারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না কেন? কেননা এই ধরনের পরিস্থিতি বিশেষ ফ্লাইট চলাচলের প্রয়োজন হয়। কিন্তু তেমন কোনো উদ্যোগের খবর এখনো আমরা জানি না।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বলছে, আগামী ১ অক্টোবর থেকে তারা সৌদিতে ফ্লাইটি পরিচালনা করবে। তাহলে যাদের ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে; তাদের কি হবে? রিটার্ন টিকিট থাকার পরও অন্তত ৩০ হাজার প্রবাসীকে নিঃশ্ব হতে হবে? সেই দায় কাদের?
আমরা মনে করি, আর সময় নষ্ট না করে দ্রুত এই ৩০ হাজার প্রবাসীকে বিশেষ ফ্লাইটের মাধ্যমে তাদের কর্মস্থলে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, অন্যের দায় তারা কেন বইবে?
বাংলাদেশ সময়: ৭:৪০ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
protidin-somoy.com | anayet mojomdar
Development by: webnewsdesign.com